বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ রাকিবুল হাসানঃ— ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার বেড়া উপজেলাধীন আমিনপুরের নগরবাড়ীতে প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। নগরবাড়ী ঘাটে নদী বন্দর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ।

আরও পড়ুনঃ শিবপুরে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আর নেই– রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, আব্দুল কাদের প্রমুখ ।

নগরবাড়ী ঘাটের আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে হরিনাথপুর এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমাতে নগরবাড়ী-আরিচা রুটে ফেরি চলাচলের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে । তিনি তার বক্তব্য আরও বলেন, নৌপথ খননের জন্য বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটির এর বহরে সাতটি ড্রেজার সংযুক্ত করেছিলেন । আরিচা-রাজবাড়ীর নরাদহ রুটে ফেরি সার্ভিস সহ সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদী বন্দর আধুনিক নদী বন্দরে পরিনত করা হবে ।

আরও পড়ুনঃ জালনোট প্রতিরোধে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায়

দেশের উত্তরঞ্চলের মালামাল বিতরণের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ঘাট হচ্ছে এই নগরবাড়ী ঘাট । এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন-সার, সিমেন্ট, পাথর, বালু, কয়লা সহ অন্যান্য বহু সামগ্রী উঠানামা হয়ে থাকে । এই ঘাটের তেমন আধুনিক সুযোগ সুবিধা না থাকায় মালামাল উঠানামানো বেশ সমস্যা হয়ে থাকে ।
নগরবাড়ী ঘাটে নদী বন্দর এর অবকাঠামোর উন্নয়নে ৫১৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে । প্রকল্পের আওতায় ভুমি উন্নয়ন, নদী ড্রেজিং, পাকা জেটি, নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, স্টিল গ্যাংওয়ে, পল্টুন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ,যাত্রীছউনি, প্রশাসনিক ভবন নির্মান, উন্মক্ত স্থান, বন্দর ভবন, পরিদর্শন বাংলো, ডরমেটরি এবং পাইলট হাউজ নির্মাণ সহ আরও বেশ কিছু আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন মুলক কার্য সম্পাদক করা হবে । উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পাবনা জেলা তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে । প্রকল্পের কাজটি ৩০ জুন ২০২১ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে আশা করা যাচ্ছে ।